Header Ads

Header ADS

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দশম গ্রেড এ উন্নীত করার সিদ্ধান্ত

কৃষি ডিপ্লোমধারী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তৃতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মধ্যে বেতন কাঠামো নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা দূর হবে বলে মন্তব্য করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। 
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে এ কথা বলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে জনপ্রশাসন সচিব, কৃষি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব. শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার পর কিছু কিছু সমস্যা থেকে যায়। সেগুলো সমাধানেই এই কমিটির বৈঠক প্রয়োজন হয়। ২০১৬ সালের পর এ ধরনের বৈঠকের প্রয়োজন হয়নি। সর্বশেষ যে বেতন স্কেল দেওয়া হলো সেখানে কিছু অসঙ্গতি থেকে যায়। সেগুলো সমাধানের জন্যই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের বৈঠকে ৪টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটির বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে কয়েক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বার্থ জড়িত। সে বিষয়ে আমরা আগেই না করে দিয়েছিলাম। যে এটা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এর সঙ্গে বিপুল অংকের অর্থের সম্পর্ক রয়েছে।
এমপিও প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ আমরা এমপিও দেবো যা আগামী অর্থবছর যা ১ জুলাই থেকে শুরু হবে। শিক্ষার গুণগতমান এবং অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষি খাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা বর্তমানে ১১ তম গ্রেডে বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। তাদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্ট, স্টেশন মাস্টার, স্টাফ অফিসার, জুনিয়র প্রশিক্ষক ও মোবিলাইজিং অফিসারদের গ্রেড উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টররা ছিল ১২ নম্বর গ্রেডে তারা ১১ নম্বরে এবং স্টেশন মাস্টাররা ছিল ১৩ নম্বর গ্রেডে তাদেরকে ১২ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে।
তৃতীয় প্রস্তাব ছিল সিলেকশন গ্রেডে টাইমস্কেল প্রদানের সময় বাড়ানো। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন 'এটি বাতিল করা হয়েছে', এটা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা যখন নতুন পেস্কেল করি তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০১৫ পর্যন্ত যারা পেয়েছে তাদের সবারটা গ্রহণযোগ্য হবে। এখন তারা এটাকে ২০১৬ পর্যন্ত পাচ্ছে। এটা একজন নারী আবেদন করেছেন। বৈঠকে সেটা আবার নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থ প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপ-পরিচালক ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা যারা ৭ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন তাদেরকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। এদের সংখ্যা খুবই কম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় ভবিষ্যতে বেতন কাঠামোর অসঙ্গতি নিয়ে এই কমিটির আর কোনো বৈঠক করার প্রয়োজন হবে না। যেখানে যেখানে সমস্যা ছিল সেগুলো সমাধান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রেনীর বিষয়টি আসলে বোগাস। আমার চিন্তায় এখন চতুর্থ শ্রেনী, তৃতীয় শ্রেনী বলে কিছু নেই। এখন বেঞ্চমার্ক হচ্ছে গ্রেড, সবাই গ্রেডের আওতাধীন। 
Join With Us Click Here

কোন মন্তব্য নেই

Xaviarnau থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.